রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর বাঘায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার(৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ফতিয়ারদাইড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পিতা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বিকালে ও-ই শিশু এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে যায়। খেলা শেষে অন্যান্য শিশুরা চলে গেলে, তাকে একা পেয়ে একই এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে মুন্টু আলী তার বাড়ির পূর্ব পাশের পাকা রাস্তা থেকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে পূর্বদিকের মাঠে নিয়ে যায়। এ দিকে সন্ধা ঘনিয়ে আসলে শিশুর মা তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।
পাড়ার মধ্যে খুঁজে না পেয়ে রাস্তায় এসে শিশুটির নাম ধরে চিৎকার করে ডাকতে থাকে। শিশুর মায়ের গলার আওয়াজ শুনে মুন্টু ভয় পেয়ে শিশুকে রেখে পালিয়ে যায়। তখন ও-ই শিশু পরনের বস্ত্র খোলা অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে তার মায়ের কাছে চলে আসে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই দিন বাদ মাগরিব গ্রাম্য শালিশ বসে কিন্তুু মুন্টু উপস্থিত হয়নি।
ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন,সয়ং আল্লাহ আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে দিয়েছ। আমি যদি খোঁজাখুঁজি না করতাম তাহলে হয়তো আমার মেয়েকে জীবিত ফেরত পেতাম না। আমার এ-ই অবুঝ শিশুর সাথে যা হয়েছে তা যেন আর কারো শিশুর সাথে না হয়। তাই আমি এই মুন্টুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মন্টু একজন বিবাহিত পুরুষ। বিবাহিত জীবনে তার ২ জন স্ত্রী’র ২ টি সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রীর ছেলের বয়স ১২ বছর। শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারী মুন্টুর নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তার প্রথম স্ত্রী সম্পর্ক ছিন্ন করে তাকে ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে তার প্রতি এলাকার সকলেই ক্ষিপ্ত। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে মুন্টুর মা ও স্ত্রী বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে লোকমুখে শুনেছি। মুন্টুর সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। ঘটনার রাত থেকেই সে বাড়িতে আসে না। তার মুঠোফোনে বার বার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এক দিকে ধর্ষণ চেষ্টার স্বীকার শিশুর মৌখিক স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতিতে এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে, এবং চঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছেন এ এলাকার সর্ব স্তরের সাধারণ জনগন। অন্যদিকে সু-বিচার পাওয়ার আশায় আইনের দারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা, মা।
ইউপি সদস্য তুহিন উদ্দিন স্বপন বলেন, লোক মুখে শুনে ওই শিশুর বাবার সাথে দেখা করেছি। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা পেতে শিশুর বাবা বাদি হয়ে বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।